শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
পশুখাদ্যে মেশানো হয় ধুলাবালি!

পশুখাদ্যে মেশানো হয় ধুলাবালি!

পশুখাদ্যে মেশানো হয় ধুলাবালি!
পশুখাদ্যে মেশানো হয় ধুলাবালি!

অনলাইন ডেস্ক: বগুড়ার শেরপুরে একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেজাল ও মানহীন পশু খাদ্য তৈরি করছে। এসব খাদ্যে প্রয়োজনীয় উপকরণের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে মেয়াদ উর্ত্তীণ আটা, বালু ও সিরামিকসের ধুলা।

পরে নামিদামি কম্পানির সিল দেওয়া বস্তায় ভরে বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে ভেজাল খাদ্য খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু।উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ রকম অর্ধশতাধিক কারখানা থাকলেও তা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রণবীরবালা ঘাটপার থেকে শালফা-বথুয়াবাড়ী পর্যন্ত চার-পাঁচটি গোডাউনে পশু খাদ্য তৈরির উপাদান ডিওআরবি ও রাইস ব্রানে মেশানো হচ্ছে সিরামিকসের ধুলা, বালু ও ডলোচুন। পরে তা স্থানীয় মজুমদার ফুড প্রডাক্টস ও ওয়েস্টার্ন অয়েল মিলের বস্তায় ভরে বাজারজাত করা হচ্ছে। এ ছাড়া শেরুয়া বটতলা, ব্র্যাক বটতলা, তালতলা ফরেস্টগেট, মির্জাপুর, খানপুর রোড, সাউদিয়া পার্ক রোড, রানীরহাটসহ উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কসংলগ্ন অর্ধশতাধিক গোডাউনে ভেজাল গো খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে।

খামারি আতাউর রহমান ও আব্দুল মান্নান অভিযোগ করে বলেন, ভেজাল ও মানহীন পশু খাদ্যে বাজার সয়লাব। নামিদামি কম্পানির প্যাকেটে ভরে বিক্রি করায় কোনটি আসল আর কোনটি নকল, তা চেনাই যায় না। অথচ এসব ভেজাল খাদ্যের প্যাকেটে লেখা দামেই কিনছেন তাঁরা।

সোলায়মান আলী ও শফিকুল ইসলাম নামের দুই ব্যবসায়ী জানান, এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পশু খাদ্যে ভেজাল উপকরণ মেশাচ্ছেন। এভাবে তাঁরা দ্বিগুণ লাভ করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন। ফলে তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকা সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। ভেজাল ডিওআরবি ও রাইস ব্রানের পশু খাদ্যের প্রতিটি গাড়িতে (১৫ টনের ট্রাক) ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

তাঁরা আরো জানান, যেকোনো পশু খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এ ছাড়া কারখানা স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরেরও অনুমোদন লাগে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব নিয়ম-নীতি মানছেন না। তাঁদের কারণে এলাকার পশুসম্পদ ধ্বংসের মুখোমুখি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান বলেন, এসব ভেজাল খাবার খাওয়ানোর পর বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয় পশুরা। এতে তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। তাই ভেজাল পশু খাদ্য উৎপাদন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দারকার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা জানান, সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিনটি ভেজাল খাদ্য তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। পরে জরিমানাসহ সিলগালা করে দেওয়া হয় কারখানাগুলো। এর মধ্যে খানপুর ইউনিয়নের শুবলী গ্রামের জোয়াদ্দার পোলট্রি ফিড কম্পানিকে ৫০ হাজার টাকা এবং মির্জাপুর বাজার ও ভীমজানি গ্রামের শামীম হোসেনের মালিকানাধীন দুটি কারখানাকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামীতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply